শুক্রবার ১৫ নভেম্বর ২০২৪
সম্পূর্ণ খবর
Riya Patra | ৩০ মে ২০২৪ ২২ : ৫১Riya Patra
রিয়া পাত্র
নিয়ম মেনে, ৩০ মে শেষ দফার প্রার্থীদের প্রচার শেষ হল। শুধু শেষ দফার প্রার্থীদের নয়, ৩০ মে শেষ হল ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন, বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রচারও। শেষ দিনেও রাজপথ দেখল মেগা ব়্যালি। প্রার্থীদের সমর্থনে কোথাও হাঁটলেন মমতা। কোথাও ভোট চাইলেন মিঠুন-সুকান্ত। নির্বাচনী নিয়মানুসারে ভোটের আগে প্রার্থীরা আর কোনও রকম প্রচার চালাতে পারবেন না। প্রচারের শেষ আর ভোটের আগে, কী করছেন প্রার্থীরা? তারই খোঁজ নিল আজকাল ডট ইন।
দমদম-এর তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সৌগত রায়। প্রায় দেড়মাস, প্রতিদিন সকাল-সন্ধে নিয়ম করে প্রচার করেছেন। প্রচার শেষে বলছেন, 'আপাতত রিল্যাক্সড লাগছে। ' টেনশন? বললেন, 'সে তো সব ভোটেই হয়'। আগামীকাল কী করছেন? উত্তরে হালকা মজার ছলে জানালেন, 'সব উত্তর দেব না, কিছুটা কৌতূহল থাক।'
বরানগরে উপনির্বাচন হচ্ছে লোকসভা ভোটের সঙ্গেই। তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সায়ন্তিকা ব্যানার্জির সঙ্গে যোগাযোগ করা না গেলেও, বাকি দুই প্রার্থীর খোঁজ নেওয়া গেল। বাম প্রার্থী তন্ময় ভট্টাচার্য শতাধিক সভা করেছেন। প্রচার শেষে কী মনে হচ্ছে তাঁর? বললেন, 'আমার টেনশন হয় না। আমি মানুষের কাছে গিয়েছি। দেখুন, প্রচারের একটা নির্দিষ্ট সময়-সীমা থাকে, সেই সময়ের মধ্যে আমি যতটা সম্ভব মানুষের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করেছি। আমি বিশ্বাস করি, মানুষই ইতিহাস রচনা করে।' কী বলছেন বরানগরের বিজেপি প্রার্থী সজল ঘোষ? বললেন, 'প্রথম ৪০-৪৫ দিন প্রতিদিন সকাল-বিকেল মানুষের ঘরে ঘরে গিয়েছি। তারপর থেকে মিটিং, মিছিল, ব়্যালি করেছি।' টানা প্রচারে প্রার্থী ক্লান্ত? সাফ উত্তর ‘না’।
এককালের বামগড় যাদবপুরে এখন তৃণমূলের সাংসদ। এবারেও ঘাসফুল শিবির জয় নিয়ে আশাবাদী। অন্যদিকে বামেরা ভাবছে এবার মানুষ বামদিক ঘেঁষে দাঁড়াবেন। যাদবপুরের তৃণমূল প্রার্থী সায়নী সরকারের হয়ে প্রচারের শেষ দিনেও পথে নেমেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি। গোটা প্রচারকালে প্রার্থী চেষ্টা করেছেন প্রতিটা ওয়ার্ড, অঞ্চল ছুঁয়ে দেখার। টানা ব্যাক টু ব্যাক ব়্যালি-জনসভা করেছেন ঘেমে নেয়ে। আগামিকাল কী করছেন? জানা গেল আপাতত কোনও স্ট্র্যাটেজি নেই। প্রচার শেষে আজ খুব ভাল করে ঘুমোতে চান যাদবপুরের সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য। হিসেব বলছে প্রায় ২ মাসে কেবল দেড় দিনের ব্রেক। আড়াইশোর বেশি সভা-মিছিল করেছেন এই সময়কালে। প্রচার শেষের অনুভূতি কেমন? বললেন, 'পরীক্ষার প্রিপারেশন হল। আগামিকাল মনে মনে রিভিশন দেব। পরশু সোজা পরীক্ষা।'
ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অভিষেক ব্যানার্জি। শুধু নিজের প্রচার নয়, দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক, প্রচার করেছেন রাজ্যের বাকি প্রার্থীদের হয়েও। জেলায় জেলায় ঘুরে প্রচার শেষে তবেই নিজের হয়ে প্রচার অভিষেকের। হিসেব বলছে রাজ্যে মোট ৭২টি রোড শো এবং জনসভা করেছেন তিনি। ডায়মন্ড হারবারে অভিষেকের প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিএম প্রার্থী প্রতীক উর রহমান। প্রচরকালে কী বুঝলেন তিনি? বললেন মানুষের ভালোবাসা নিয়ে শেষ হয়েছে তাঁর প্রচার। আগামিকাল কী করবেন? একটু ক্ষুব্ধ প্রার্থী। অভিযোগ, ইতিমধ্যে হুমকি পাচ্ছেন তাঁর এজেন্টরা। আগামিকাল কাটবে সেসব নিয়ে আলোচনা করেই। শুরু থেকেই এবার হটলিস্টে বসিরহাট। তৃণমূল, বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে যোগাযোগ না করা গেলেও, খোঁজ মিলল বাম প্রার্থীর। ৬ এপ্রিল দেওয়াল লিখন দিয়েই একপ্রকার প্রচার শুরু করেছিলেন নিরাপদ সরদার। সভা মিছিলের সংখ্যা মনে নেই। প্রচার শেষে খোশমেজাজে বললেন, প্রার্থী হওয়া, ভোট লড়া কোনওটাই আন্দোলন করে উঠে আসা নিরাপদর ইচ্ছা ছিল না। চেয়েছিলেন দরিদ্রদের, নিপীড়িতদের পাশে দাঁড়াতে। দলের কথায় ভোট লড়লেন ঠিকই। তবে হার-জিত নিয়ে খুব একটা চিন্তিত নন। ভাবনা মানুষের পাশে থাকার। আগামিকাল কী করছেন? শুক্রবার সন্দেশখালি যাবেন নিরাপদ। দলীয় কার্যালয়ে কর্মী, এজেন্টদের সঙ্গে কথা বলবেন। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি দেখবেন। বারাসাতের তৃণমূল প্রার্থী কাকলি ঘোষ দস্তিদার প্রচার শেষেও অসম্ভব ব্যস্ত। তার মাঝেই জানালেন, নির্বাচনী প্রচারকালে ৩০০ এর বেশি সভা, রোড শো করেছেন তিনি। আইএসএফ প্রার্থী তাপস ব্যানার্জি শতাধিক সভা মিছিল করেছেন এই সময়কালে। তাতে কতটা ক্লান্ত? বললেন, ' কর্মীরা যাতে ক্লান্ত হয়ে না পড়ে, সেই কারণেই সতেজ রয়েছি।' আগামিকাল নেতাদের সঙ্গে দেখ করবেন তিনি।